Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
চাঁদাবাজ গ্রেফতার
বিস্তারিত

চাঁদাবাজ গ্রেফতারঃ

মেহেন্দিগঞ্জ থানার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৮-০৪-২০১৮ইং, ধারা-১৪৩/৩৪১/৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৮৫/ ৩৮৬/৩৮৭/৫০৬(২) এজাহার নামীয় গ্রেফতারকৃত আসামী-১। মোঃ রাতুল চৌধুরী(২৬),পিং-জগলুল চৌধুরী, সাং-চরহোগলা,১নং ওয়ার্ড,২। মোঃ সোহেল সরদার(৩১),পিং-কাঞ্চন সরদার, সাং-দাদপুর মধ্যকন্দি(হাসু চৌকিদার বাড়ী) ৬নং ওয়ার্ড,৩। মোঃ নয়ন বেপারী(২৪),পিং-মোঃ দুলাল বেপারী,৪।মোঃ আমজাদ হোসেন(১৯),পিং- জামাল সিকদার,৫।রকি ঢালী(১৯),পিং-নাসির ঢালী, সর্বসাং-চরহোগলা,২নং ওয়ার্ড,৬। রুবেল(২৭),পিং- নাসির উদ্দিন চৌকিদার,সাং-লস্করপুর, সর্বথানা- মেহেন্দিগঞ্জ, জেলা-বরিশালগন থানায় মামলার ঘটনার পর হইতে এলাকা থেকে পলাতক থাকে। থানায় মামলা রুজুর পর পুলিশী অভিযান চলাকালীন বিবাদীগন তাহাদের নিকট থাকা  বগিদা সহ চরহোগলা সাকিনে জৈনকা খোরশেদা বেগম এর বাড়ীতে জোরপূর্বক আশ্রয় গ্রহন করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় তাহাদের গ্রেফতার করা হয়। তাহাদের দখল হইতে বিভিন্ন সাইজের মোট ০৬ (ছয়)টি বগি দা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।  জানা যায়, গত  ইং ২০/০২/১৮ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময়ে বাদী আবুল বাসার @ আছলাম বেপারীর পিতার বসত বাড়ীতে যাইয়া ২,০০,০০০/-টাকা চাঁদা দাবী করে। চাদা না দিলে তাদেরকে উক্ত স্থানে বসবাস করিতে দিবেনা। ইং-২২/০২/১৮ ইং তারিখ দিবাগত রাত্র অর্থাৎ ইং ২৩/০২/১৮ তারিখ রাত অনুমান ০১.১৫ ঘটিকার সময় বাদীর মায়ের চিকিৎসার জন্য পাতারহাট বন্দর থেকে ঔষধ কিনে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়া ঐ দিন রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন চরহোগলা সাকিনস্থ জনৈক লিটন মৃধার বাড়ীর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর মোটর সাইকেল যোগে পৌঁছামাত্র সকল বিবাদীরা অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সহকারে বে-আইনী জনতাবদ্ধে বগি দা ও লোহার রড সহকারে বাদীর মটোর সাইকেলের গতি রোধ করিয়া দাড়ায়। সকলে মিলিয়া বগি দা দিয়া খুন জখমের ভয় দেখাইয়া দাবীকৃত চাঁদার টাকা চায়। বাদী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলে বিবাদীরা তাহাকে মটোর সাইকেল থেকে টানিয়া নামায় এবং এলোপাথারী মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে ১নং বিবাদী রাতুল চৌধুরী তার হাতে থাকা বগি দা দিয়া বাদীকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ দিলে বাদী হাত দিয়া ঠেকাইলে উক্ত কোপ তাহার বাম হাতের তালুতে লাগিয়া রগ কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।  বাদী রাস্তার উপরে পড়িয়া গেলে ২নং বিবাদী মোঃ সোহেল সরদার বাদীকে পঙ্গু করিয়া দেওয়ার জন্য তার হাতে থাকা বদি দা দিয়া বাদীর ডান পায়ের নলায় কোপ দিয়া হাড় কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য বিবাদীরা লোহার রড দিয়া তাহাকে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। ঐ সময়ে বিবাদী রাতুল চৌধুরী বাদীর প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১৫,০০০/- টাকা চাঁদা বাবদ নিয়া যায়। বাদীর আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা বাদীকে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। পরে কতেক সাক্ষী তাহাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করিয়া মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসিলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বাদীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপতাল, বরিশালে রেফার করেন। তিনি চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হইয়া বাড়ীতে আসিলে বিবাদীরা ইং০৫/০৪/১৮ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.৪৫ ঘটিকার সময় তাহার পিতার বসত বাড়ীতে লোহার রড,বগি দা এবং লাঠিশোটা সহকারে বে-আইনী জনতাবদ্ধে মিলিত হইয়া অনধিকার প্রবেশ করিয়া পুনারায় দাবীকৃত অবশিষ্ট টাকা বাদীর মায়ের কাছে দাবী করে এবং বাদীকে খোজ করিতে থাকে। বাদীকে না পাইয়া তাহার মাকে বলে -"সুযোগ পাইলে তোর ছেলেকে খুন করিয়া ফেলিব।"

জব্দকৃত আলামতের বর্ননাঃ

অত্র মামলার বিবাদীদের দখল ও উপস্থানমতে নিম্নে বর্নিত জব্দকৃত আলামতের জব্দ তালিকা ইং ০৮-০৪-২০১৮ তারিখ, রাত্র ২২.৩৫ ঘটিকায় প্রস্তুত করা হয়।ক) মোট ০৬(ছয়)টি লোহার তৈরী লোহার বাটযুক্ত বগি দা (দেশীয় তৈরী)। যাহা লোহার বাটসহ লম্বা যথাক্রমে ০২ টি ৪০(চল্লিশ)ইঞ্চি, ০২টি ৩৯(উনচল্লিশ)ইঞ্চি, ০১টি ৩৬(ছত্রিশ)ইঞ্চি, ০১ টি ৩২(বত্রিশ)ইঞ্চি।